শেরপুর

শেরপুর সদর উপজেলার কৃষক, দিনমজুর ও শ্রমিকদের জাতীয় সংসদ ভবন ঘুরে দেখালেন: হুইপ আতিক

  স্বাধীন বাংলা নিউজ ১১ অক্টোবর ২০২৩ , ১১:৩৮ পিএম অনলাইন সংস্করণ

শেরপুর সদর উপজেলার কৃষক, দিনমজুর ও শ্রমিকদের জাতীয় সংসদ ভবন ঘুরে দেখালেন: হুইপ আতিক

শেরপুর জেলার সদর উপজেলার কৃষক, দিনমজুর ও শ্রমিকদের বাংলাদেশের মহান জাতীয় সংসদ ভবন ও তার ভিতরের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখালেন শেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো. আতিউর রহমান আতিক এমপি। ১০ অক্টোবর মঙ্গলবার দিনব্যাপী তিনি ওইসব কৃষক, দিনমজুর ও শ্রমিকদের সংসদ ভবন ঘুরে দেখান।

এসময় তিনি বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি’র কাছ থেকে অনুমতিক্রমে আমার শেরপুর জেলার সদর উপজেলার সকল মানুষদের সংসদ ভবন ও তার ভিতরের বিভিন্নস্থন ঘুরে দেখাচ্ছি। আমার শেরপুরের কৃষক, দিনমজুর ও শ্রমিকরা চিন্তা করতে পারেনি যে তারা গাড়ী দিয়ে এসে সংসদ ভবন দেখবেন।

তিনি আরো বলেন, শেরপুর জেলার সদর উপজেলা থেকে তৃণমূল পর্যায়ে সাধারণ মানুষ যারা বৃষ্টি ভিজে রৌদ্রের তাপ শুকিয়ে অন্য জমিতে চাষাবাদ করে, একদিকে তাদের বলা হয় ক্ষেত মজুর, দিনমজুর, রিকসা চালক, ভ্যান চালক, হোটেল শ্রমিক, মটর শ্রমিক, চাতাল শ্রমিক সর্বস্তরের শ্রমিকরা আজকে সংসদ ভবন দেখতে আসছে, তারা বার বার আমাকে ভোট দিয়েছে মাননীয় প্রধান জাতিক জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বার বার আমাকে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন দিয়েছে এবং শেরপুরের সাধারণ মানুষ গুলো নৌকা মাকায় ভোট দিয়েছে। তাদের ইচ্ছা ছিল তারা যেন একটি বার সংসদ ভবন দেখার সুযোগ পায়। তারা লুঙ্গি পরে কাঁদে গামছা ঝুলিয়ে শেরপুর সদর উপজেলা থেকে আজকে সর্বস্তরের শ্রমিকেরা প্রতিনিধিরা এখানে সমবেত হয়েছেন। আমি তাদের এই আশা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তার কাছ থেকে এবং জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছ থেকে অনুমতি চেয়েছিলাম তারা অনুমতি দিয়েছে, যে কারণে আজকে আমার শেরপুর সদর উপজেলার তৃণমূল পর্যায়ে সাধারণ মানুষ ও শ্রমিকরা এখানে আসার সুযোগ পেয়েছেন এবং সংসদ ভবন ঘুরে দেখছেন। বাংলাদেশের ৫২ বছরের ইতিহাসে এই পার্লামেন্টে এই প্রথম শেরপুর জেলার সদর উপজেলার কৃষক, দিনমজুর ও শ্রমিকরা সংসদ ভবন ও তার ভিতরের বিভিন্নস্থান গুলো দেখার সুযোগ পেয়েছেন। এছাড়াও কোন চেয়ারটিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রীগণ, বিরোধী দলীয়নেতা এবং সকল সংসদ সদস্যরা বসেন সেগুলো তারা প্রত্যক্ষ করেন।
তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুমতি নিয়ে বাংলাদেশের প্রত্যেক এমপি ও মন্ত্রীরা তাদের আসন থেকে সকল শ্রেণিপেশার মানুষদের নিয়ে সংসদ ভবন দেখান যেন।

তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা সরকার বার বার দরকার, শেখ হাসিনা সরকার উন্নয়নের সরকার এবং শেখ হাসিনা গরীব দুঃখী মানুষের উন্নয়নের সরকার।
বাংলাদেশের মানুষ এখনও বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর বিশ্বাস এখন ছাড়েনি তিনি হলো বাংলাদেশের আশা-আকাক্সক্ষা ও ভরসার শেষ আশ্রয়স্থল এই হিসেবে আজ তারা সংসদ ভবন দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছেন এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই শাসন আমলে তারা বিশ্বাস করে মায়ের কোলে সন্তান যেরকম নিরাপদ বাংলাদেশ শেখ হাসিনার হাতে তেমনি নিরাপদ। প্রধানমন্ত্রী ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত ও জঙ্গীবাদমুক্ত একটা সুখী সমৃদ্ধিশালী অসম্প্রদায়িক স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে অঙ্গীকার করেছেন ইনশাল্লাহ ২০৪১ সালের মধ্যে এই অঙ্গীকার অবশ্যই বাস্তবায়ন করবেন এটাই আমাদের সকলের প্রত্যাশা।

এছাড়াও হুইপ কন্যা সাদিয়া রহমান অপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যেমন বাংলাদেশের মানুষকে নিয়ে চিন্তা করেন তেমনি আমার বাবা সব সময় শেরপুর জেলার উন্নয়ন ও সকল শ্রেণিপেশার মানুষের কথা চিন্তা করেন।

সংসদ ভবন ঘুরতে আসা অনেকে বলেন, আসলেই আমি জীবনে ঢাকা শহরে আসি নাই। এসে সংসদের ভবনের ভিতরে যা দেখলাম জীবনে কোন দিন দেখি নাই। আমি কাজ করিয়া ভাত খাই, আতিক ভাইয়ের কারণে আমরা সংসদ ভবন ঘুরে দেখলাম। আমি জীবনে স্বপ্ন দেখতাম ঢাকা শহরে এত সুন্দর সংসদ ভবন আছে কিন্তু আজকে আতিক ভাই মাননীয় হুইপ উনি আমাদের নিয়া আইসা এই সংসদ ভবন পুরাটা ঘুরাইয়া দেখাইলো যা জীবনে কল্পনা করি নাই স্বপ্ন আইজ বাস্তবায়ন হইলো এই আতিক ভাইকে, এদেশের বর্তমান সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। একজন শ্রমিক হইয়া আইজকা আমি স্বচোখে দেখলাম সংসদ ভবন। আমি বাস্তবে আসলে সংসদ ভবন দেখি নাই, আচানক জিনিস দেখলাম, তার পরেও যদি প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে পারতাম আরো শান্তি পাইতাম। হুইপ সাহেব খায়াইলু, ভালা জায়গা ইরুম জায়গা আর জীবনে দেখবার পাইতাম না সে জন্য ধন্যবাদ, এমপি লাইগা ও শেখ হাসিনার জন্য দোয়া চাই।

সংসদ ভবন ঘুরে দেখানো শেষে উপস্থিত সকলকে নিয়ে দুপুরের খাবারে অংশগ্রহণ করেন হুইপ আতিক এমপি। পরে তিনি সকলকে একটি করে গেঞ্জি ও মগ উপহার দেন।

এসময় শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপ-দপ্তর সম্পাদক বিনয় কুমার সাহা, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আওলাদুল ইসলাম আওলাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক-১ তসলিম উদ্দিন মাস্টারসহ সদর উপজেলা জেলার শ্রমিকের প্রতিনিধিরা ও শ্রমিকগণ উপস্থিত ছিলেন।