শেরপুর

শেরপুরে ঝড়-শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি ; দিশেহারা কৃষক

  স্বাধীন বাংলা নিউজ ১৯ এপ্রিল ২০২২ , ৫:৩২ পিএম অনলাইন সংস্করণ

শেরপুরে ঝড়-শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি ; দিশেহারা কৃষক



শেরপুরে ঝড়-শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি ; দিশেহারা কৃষক 
হাফিজুর রহমান লাভলু, শেরপুরঃ
শেরপুর জেলার সদর উপজেলার আংশিকসহ ঝিনাইগাতি ও শ্রীবরদী উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড় ও শীলাবৃষ্টিতে শত শত একর জমির ধান, গাছপালা, ঘর-বাড়িসহ বিভিন্ন সবজির ক্ষেত এবং পোলট্রি খামারের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ১৯ এপ্রিল মঙ্গলবার ভোর ৫ টারদিকে বইয়ে যাওয়া ওই ঝড় ও শীলাবৃষ্টি শত শত একর জমির পাকা ও আধ পাকা ধান মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে । ফলে ওইসব এলাকায় কৃষকরা এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
জানাগেছে, মঙ্গলবার ভোর ৫ টারদিকে শেরপুর সদর উপজেলার কিছু অংশ এবং ঝিনাইগাতি ও শ্রীবর্দী উপজেলার লংগরপাড়া, কুরুয়া, কুড়িকাহনীয়া, রহমতপুর, জগৎপুরসহ বিভিন্ন গ্রামের উপর দিয়ে কালবৈশাখী ঝড় এবং ঝড়ের সাথে প্রচুর পরিমানে শীলা বৃষ্টি হয়। 
এসময় উল্লেখিত গ্রামের শত শত একর জমির পাকা ও আধ পাকা ধান মাটির সাথে মিশে যায়। এছাড়া বিভিন্ন সবজি ক্ষেত ও ফলজ গাছের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন পোল্ট্রি খামারের ঘরের চাল ছিদ্র হয়ে শত শত মুরগি মরে যায়। এছাড়া ঝড়ে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে যাওয়ায় ভোর থেকেই শহর ও বিভিন্ন গ্রামের বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের মধ্যে কুড়িকাহনীয়া গ্রামের নবিকুল ইসলাম, তমিজ উদ্দিম, মমতাজ মিয়া, ইয়াসিনসহ শতাধিক কৃষক জানায়, শীলা বৃষ্টিতে তারা একেবারে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। অনেকেই বলেন, তাদের খাবারের ধানই রইলো না। অনেকেই ঋণ করে এ আবাদ করায় তারা এখন ঋণ শোধ নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেছেন। গোয়ালের গরু বিক্রি করার চিন্তা করছেন কেউ কেউ।
শ্রীবর্দী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নিলুফা আক্তার জানান, ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় পরিদর্শন করা হচ্ছে। ক্ষয়-ক্ষতি নিরুপন করে উর্ব্ধতন কর্মকর্তাদের জানানো হবে।
এদিকে ক্ষয়-ক্ষতির বিষয়ে জেলা কৃষি বিভাগের উপ পরিচালক মুহিত কুমার দে জানান, প্রাথমিক ভাবে সদর উপজেলার কিছু অংশসহ ঝিনাইগাতি ও শ্রীবর্দী উপজেলায় প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমির ধান আক্রান্ত হয়েছে। ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ নিরুপনে কৃষি কর্মকর্তা মাঠে আছেন।
এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপুরণ ও পরবর্তি কৃষি পুনরবাসনে প্রণোদনা দেয়া উচিত বলে সচেতন মহল মনে করছেন।