শেরপুর

নকলা উপজেলার চাঞ্চল্যকর কলেজ ছাত্রী ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামী মিসকিনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৪

  স্বাধীন বাংলা নিউজ ১৪ মে ২০২৩ , ৭:৩১ পিএম অনলাইন সংস্করণ

নকলা উপজেলার চাঞ্চল্যকর কলেজ ছাত্রী ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামী মিসকিনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৪



নকলা উপজেলার চাঞ্চল্যকর কলেজ ছাত্রী ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামী মিসকিনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৪
শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার চাঞ্চল্যকর কলেজ ছাত্রী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী মো. মোশারফ হোসেন ওরফে মিসকিন (২০) কে র‌্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্পের র‌্যাব সদস্যরা শেরপুর পৌরসভার দিঘারপাড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে শুক্রবার বিকেলে গ্রেফতার করেছে। 
মো. মোশারফ হোসেন ওরফে মিসকিন শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার জালালপুর গ্রামের মো. আব্দুল লতিফ মিয়ার ছেলে। 
র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে, ভিকটিম একজন কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী। ভিকটিম প্রতিদিনের ন্যায় কলেজ হতে যাওয়া আসার পথে লম্পট মো. মোশারফ হোসেন ওরফে মিসকিন ওই ভিকটিমকে একা পেয়ে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসতে থাকে। একপর্যায়ে ভিকটিমকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে ভিকটিমকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বিভিন্ন সময়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরবর্তীতে ভিকটিম মো. মোশারফ হোসেন ওরফে মিসকিনকে বিয়ে করার জন্য চাপ সৃষ্টি করলে ভিকটিমকে বলে তার কথামতো শারীরিক সম্পর্ক না করলে তার সকল গোপনে ধারণকৃত অশ্লিল ভিডিও ক্লিপ ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিবে। গত ১০/৪/২০২৩ ইং তারিখে ভিকটিম বাড়ীতে নিয়ে বিয়ে প্রলোভন দেখিয়ে পুনরায় শারীরিক সম্পর্ক করে। পরবর্তীতে গত ০৬/০৫/২০২৩ ইং তারিখে ভিকটিমকে আবারো একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে। কিছুদিন পর ভিকটিম অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে এবং লোকলজ্জার ভয়ে সে বিষয়টি গোপন রাখে। একপর্যায়ে ভিকটিম তার গর্ভে সন্তান আসার খরব মো. মোশারফ হোসেনকে জানায় তখন তার সন্তান নষ্ট করার উদ্দেশ্যে গর্ভপাত ট্যাবলেট খাইয়ে দেয়। পরবর্তীতে ভিকটেমের শারীরিক অবস্থা অবনতি ঘটে এবং সেই ঘটনাটি স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মোশারফ হোসেন ওরফে মিসকিনের বসতবাড়ীতে সালিশ করলে ভিকটিমকে মারপিট করে বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দেয়। এমতাবস্থায় ভিকটিমকে গর্ভপাত ট্যাবলেট খাওয়ানোর ফলে গোপনাঙ্গ হতে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণ হওয়ায় নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায় এবং কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে নকলা থানায় একটি নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-৮, তারিখ ১০/৫/২০২৩ইং। 
মামলা দায়েরের পর র‌্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্প ঘটনাটি ছায়া তদন্ত শুরু করে আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহত রাখে। পরবর্তীতে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামানের নেতৃত্বে এবং সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এম এম সবুজ রানার উপস্থিতিতে র‌্যাবের একটি অভিযানিক দল ১২/৫/২০২৩ ইং তারিখে শেরপুর জেলার সদর উপজেলা পৌরসভার দিঘারপাড় এলাকা হতে প্রধান আসামী মো. মোশারফ হোসেন ওরফে মিসকিনকে আটক করে। গ্রেফতারের পর র‌্যাব সদস্যরা আসামীকে নকলা থানায় হস্তান্তর করেন।