শেরপুর

শেরপুরে পৃথক ঘটনায় ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার

  স্বাধীন বাংলা নিউজ ১৬ এপ্রিল ২০২৩ , ৯:০২ পিএম অনলাইন সংস্করণ

শেরপুরে পৃথক ঘটনায় ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার

শেরপুরে পৃথক ঘটনায় ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার 

শেরপুর প্রতিনিধি:
শেরপুরের শ্রীবরদী, নকলা এবং ঝিনাইগাতি এ তিন উপজেলার পৃথক স্থান থেকে পৃথক ঘটনায় তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। রোববার (১৬ এপ্রিল) ভোর, সকাল ও দুপুরে মরদেহ তিনটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, রোববার ভোররাতে নকলা-ফুলপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের কুর্শাবাদাগৌড় এলাকায় ইটভাটার কাছে রাস্তার পাশে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মরদেহ পড়ে ছিল। পরে ভোরে স্থানীয় লোকজন দেখে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ওই মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পথচারী হিসেবে রাতের কোন এক সময় তাকে গাড়ি চাপা দেয় এবং এতে ওই ব্যক্তি ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
অন্যদিকে ঝিনাইগাতি উপজেলার বাকাকুড়া গ্রামের মৃত আফছর আলীর ছেলে ছাইর উদ্দিন (৫০) সেহরীর সময় প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার কথা বলে ঘর থেকে বের হন। পরে সকাল সাতে সাতটার দিকে বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে কালঘুঁষা নদীর তীরে একটি আকাশমনি গাছে রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ দেখতে পান এলাকাবাসী।
পরিবারের বরাত পুলিশ জানায়, ৩ ছেলে ও এক মেয়ের জনক ছাইর উদ্দিন মানসিক সমস্যায় ভোগছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি নিজেই ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন।
এছাড়াও জেলার শ্রীবরদীতে আমিনুল ইসলাম (১৫) নামে এক কিশোরের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার খড়িয়াকাজিরচর ইউনিয়নের মাদারপুর গড়পাড়া গ্রামের নিজ বসতঘরের ধরনার সাথে ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
কিশোরের পিতা সাহের আলী জানান, দেড় বছর থেকে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঢাকা খিলখেতে বসবাস করেন তিনি। প্রায় ১৫ দিন আগে আমিনুল উপজেলার মাদারপুর গড়পাড়া গ্রামে নানার বাড়ি বেড়াতে আসে। আমিনুলের মোবাইল না থাকায় অন্যের মোবাইল দিয়ে ৮-১০ দিন আগে সর্বশেষ কথা হয় তার। এরপর থেকে আর কোন যোগাযোগ হয়নি।
কয়েকদিন আগে বাড়ি থেকে ফোন করে জানানো হয়, আমিনুলকে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে রোববার নিজের ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় ওর মরদেহ পাওয়া গেছে।
নিহতের খালাতো ভাই শহিদুল ইসলাম জানান, সকালের দিকে হঠাৎ তাদের ঘর থেকে দুর্গন্ধ আসছিলো। একপর্যায়ে জানালা ভাঙ্গলে আমিনুলের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায়।
নকলা থানার ওসি মোহাম্মদ রিয়াদ মাহমুদ, ঝিনাইগাতি থানার ওসি মনিরুল আলম ভুইয়া ও শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার বিশ্বাস পৃথক এসব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।