শেরপুর

ঝাউগড়া গণহত্যা দিবসের স্মরণে শেরপুর শ্রদ্ধা নিবেদন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

  স্বাধীন বাংলা নিউজ ১১ মে ২০২৩ , ৯:৩৬ পিএম অনলাইন সংস্করণ

ঝাউগড়া গণহত্যা দিবসের স্মরণে শেরপুর শ্রদ্ধা নিবেদন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত



ঝাউগড়া গণহত্যা দিবসের স্মরণে শেরপুর জেলা পুলিশের উদ্যোগে শ্রদ্ধা নিবেদন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদক: ১০ মে ঝাউগড়া গণহত্যা দিবস। বিনম্র শ্রদ্ধা, যথাযথ মর্যাদা ও পূর্ণ ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে শেরপুর জেলা পুলিশের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শেরপুরের ঝাউগড়ায় গণহত্যায় শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে দিবসটি পালন করা হয়েছে।   
দিবসটি উপলক্ষে ১০ মে বুধবার শেরপুর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জেলার ভাতশালা ইউনিয়নের কুঠুরাকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে গণহত্যায় শহীদদের স্মরণে নির্মিত শহীদ স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বিপিএম ও শেরপুর পুনাক সভানেত্রী সানজিদা হক মৌ। 
পরবর্তীতে কুঠুরাকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে শেরপুর জেলা পুলিশের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধচলাকালীন ঝাউগড়া গণহত্যা দিবস স্মরণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। 
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বিপিএম। সম্মানিত অতিথি হিসেবে শেরপুর পুনাক সভানেত্রী সানজিদা হক মৌ। 
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বছির আহমেদ বাদলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জুয়েল পিপিএম। 
এছাড়াও গণহত্যার বিভীষিকাময় দিনগুলোর স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন শহীদ পরিবারের সন্তান অধ্যাপক শিব শংকর কারুয়া ও তাপস কুমার সাহা প্রমুখ।
আলোচনা সভার শেষে পুলিশ সুপার ও সম্মানিত পুনাক সভানেত্রী গণহত্যায় শহীদ পরিবারের সদস্যদের মাঝে শেরপুর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।  
স্বাধীনতার ৫২ বছর পর শহীদ পরিবারের সদস্যদের জন্য শেরপুর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করায় পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বিপিএম’কে শহীদ পরিবারের সদস্যগণ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তৎকালীন শেরপুর থানা শহরের নয়আনী বাজারের বাসিন্দা হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্যবসায়ী চৌথমল কারুয়া, নিবারণ চন্দ্র সাহা, গোপেশ্বর সাহা, নিহার বসাক ভারতে না গিয়ে আত্মরক্ষা ও নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ঝাউগড়া গ্রামে আশ্রয় নেন। 
এদিকে যুদ্ধকালীন সময়ে ১০ মে পাকহানাদার বাহিনীর দোসর ফজলুর রহমান ওরফে ফজু মুন্সীসহ অপরাপর দোসররা পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সদস্যদের সাথে নিয়ে ঝাউগড়া গ্রামে আশ্রয়ের থাকা ওই হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্যবসায়ীদের ধরিয়ে দেন। তাদের সাথে ঝাউগড়া গ্রামের বাসিন্দা ভক্ত রাম বিশ্বাস, চিত্ত বিশ্বাস, নেপাল বিশ্বাস কেউ পাকহানাদার বাহিনীর সদস্যরা প্রথমে শারীরিক নির্যাতন ও পরে মৃগী নদে নিয়ে গিয়ে গুলি করে হত্যা করে।