সমগ্র বাংলা

কুমিল্লায় অফিসে ঢুকে কাউন্সিলরসহ দুজনকে গুলি করে হত্যা

  স্বাধীন বাংলা নিউজ ২২ নভেম্বর ২০২১ , ৩:৩৭ এএম অনলাইন সংস্করণ

কুমিল্লায় অফিসে ঢুকে কাউন্সিলরসহ দুজনকে গুলি করে হত্যা

 কুমিল্লার পাথুরিয়াপাড়ায় এক ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং তার এক সহযোগীকে গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে একদল মুখোশধারী।

নিহতরা হলেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ মো. সোহেল এবং ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের সভাপতি হরিপদ সাহা।

জেলার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শহরের পাথুরিয়াপাড়া থ্রি স্টার এন্টারপ্রাইজে কাউন্সিলর সোহেলের ব্যক্তিগত অফিস। সোমবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে হামলাকারীরা সেখানে গিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। 

গুলিবিদ্ধ সোহেল ও হরিপদকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর রাত ৯টার দিকে তাদের মৃত ঘোষণা করা হয় বলে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।

কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “স্থানীয়ভাবে বিরোধ ছিল। সন্ত্রাসীরা ঢুকে গুলি চালিয়েছে।”

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলকুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলহামলাকারীরা সোহেলের মাথায় গুলি করে জানিয়ে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাত বলেন, “মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে অন্তত ১০টি গুলি লাগে। হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থলে থাকা আরও কয়েকজন আহত হয়েছে।”

দুজনের লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে বলে মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হাই বাবলু এবং হরিপদর ভাই তপন সাহা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।

৫২ বছর বয়সী সোহেল কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর প্যানেল মেয়র এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন। মহানগর যুবলীগের যুগ্ন আহ্বায়কের দয়িত্বও তিনি পালন করছিলেন।

কুমিল্লা নগরীর সুজানগর এলাকার শাহজাহান মিয়ার ছেলে সোহেল এর আগেও এক মেয়াদে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। ওই ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের সভাপতি হরিপদ সাহা সাহাপাড়ার রমনী মোহন সাহার ছেলে।

মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক ও জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মাহমুদ সহিদ জানান, হামলাকারীরা সোহেলের অফিসে গিয়েছিল দুটি মোটরসাইকেলে করে।

“ভেতরে তখন সোহেল, হরিপদ ছাড়াও আরও কয়েকজন ছিল। গুলির শব্দে স্থানীয়রা গিয়ে কাউন্সিলরসহ দুইজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।”

এদিকে কাউন্সিলার সোহেলের ‘নিহত হওয়ার’ খবর ছড়িয়ে পড়লে পাথুরিয়াপাড়ায় উত্তেজনা দেখা দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন করা হয় ওই ওয়ার্ডে।

কুমিল্লা মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ সহিদ সন্ধ্যায় সেখানে গিয়ে এলাকাবাসীকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানান।

কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার ওসি আনোয়ারুল আজিম বলছেন, ‘স্থানীয় আধিপত্যের বিরোধে’ এই হামলা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন তারা। হামলাকারীদের ধরতে পুলিশ এরই মধ্যে মাঠে নেমেছে।