শেরপুর

শেরপুরে হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসনে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

  স্বাধীন বাংলা নিউজ ১৪ মে ২০২৩ , ৯:৩২ পিএম অনলাইন সংস্করণ

শেরপুরে হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসনে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান



শেরপুরে হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসনে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান
মিজানুর রহমান, প্রতিনিধি :শেরপুরে পরিকল্পিত হাতি হত্যা বন্ধ ও হাতি-মানুষের সংঘাত নিরসন, গজনি ও মধুটিলা ইকোপার্কে বন্যপ্রাণীর টর্চারসেল খ্যাত চিরিয়াখানা বন্ধ এবং বন্য প্রাণীর বানিজ্যিক ব্যবহার বন্ধসহ ৬ দফা দাবী আদায়ে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। 
শেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ‘সেইফ দ্যা নেচার অব বাংলাদেশ’ শেরপুর জেলা শাখার আয়োজনে এ মনববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়। 
সংগঠনের সহ সভাপতি বিল্লাল হোসেন সোহাগের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রেদুয়ানুল ইসলাম রাশেদ এর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সংগঠনের চেয়ারম্যান আ ন ম মোয়াজ্জেম হোসেন।
পরে তারা জেলা প্রশাসকের কাছে ৬ দফা দাবী সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করেন।
৬ দফা দাবী গুলো হচ্ছে:১। বাংলাদেশ – ভারত যৌথ বর্ডার হাট স্থাপনে, বাংলাদেশ ভারত আন্ত:সীমান্ত হাতি সংরক্ষণ প্রটোকল ২০২০ অনুসরণ ও পরিবেশগত সমীক্ষার মাধ্যমে হাতির বিচরন ক্ষেত্রের নিরাপদ দূরত্বে বর্ডার হাট স্থাপনের দাবী।
২। মানুষ ও হাতির সঙ্ঘাত নিরসনে শেরপুর জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও বেসরকারী সংস্থা এবং এনজিওর সমন্বয়ে কমিটি গঠনের মাধ্যমে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের দাবী।
৩। হাতির আক্রমনে আহত, নিহত, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহজ শর্তে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা এবং বৈদ্যুতিক শক দিয়ে পরিকল্পিত ভাবে হাতি হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
৪। হাতির বিচরন ক্ষেত্র সংলগ্ন বনের জমিতে রবিশস্য ও ধান চাষের পরিবর্তে মরিচ, লেবু, আনারস, বেত, মৌমাছি চাষের মত হাতির অপছন্দের ফল ও বৃক্ষ রোপন।
৫। শেরপুরে হাতি সহ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও দেশী বিদেশী সংস্থা সমূহের গৃহীত সকল প্রকল্পের তালিকা প্রকাশ ও তা বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ব্যবস্থাপনায় হাতির বাসস্থলে চাহিদা অনুসারে জলাধার ও প্রাকৃতিক বন গড়ে তোলার মাধ্যমে বনে হাতির খাবারের চাহিদা পূরনের দাবী।
৬। মধুটিলা মিনি চিড়িয়াখানা ও গজনী অবকাশ কেন্দ্রের স্বপ্নলোক চিড়িয়াখানায় বন্যপ্রাণীর টর্চার সেল তথা বন্যপ্রাণীর বানিজ্যিক ব্যবহার বন্ধ করুন এবং প্রাণি কল্যান আইন লঙ্ঘন করে গজনী অবকাশ কেন্দ্রে বছরের পর বছর খাঁচায় কুকুর আটকে রাখার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দেবদাস চদ্র বাবু, রবিউল ইসলাম মন্ডল, আলী হোসেন, শাহরিয়ার হোসেন লাভলু, আনিসুর রহমাম ও গণমাধ্যম কর্মী উপস্থিত ছিলেন ।